top of page
Pink Paper
  • Writer's pictureAnirban Das

নাট্যকার শম্ভু মিত্র

শতাব্দীর অঙ্ক বদলে যায়, বদলায় সভ্যতার রূপ। শিল্প-সাহিত্যের ধারা নবনব রূপে-প্রকরণে প্রবাহিত হতে থাকে। আর আজ-কাল-পরশুর এই গল্পের উৎসমুখ আলো করে থাকে ইতিহাস। আমাদের সভ্যতা-সংস্কৃতি সেই ইতিহাসের কাছে ঋণী। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের ধারায় রবীন্দ্রনাথ যেমন অপরিহার্য এক সোপান, তমনই বাংলা নাটক ও নাট্যমঞ্চের ইতিহাসে শ্রী শম্ভু মিত্র। বাংলা সাহিত্যে, নাটকে এবং রঙ্গমঞ্চে তাঁর অপরিমেয় অবদান নিয়েই এই আলোচনায় আমরা অগ্রসর হব।


১৯১৫ সালের ২২ আগস্ট দক্ষিণ কলকাতায় শম্ভু মিত্রের জন্ম হয়। পিতা শরৎকুমার মিত্র। ‘ছোটোবেলা থেকেই অভিনয় করার’ একটা ইচ্ছে শম্ভু মিত্র লালন করছিলেন। কৈশোরে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় সেই ইচ্ছের প্রেরণাতেই সহপাঠীদের নিয়ে দ্বিজেন্দ্রলালের ‘রানাপ্রতাপাদিত্য’ অভিনয়ের উদযোগ করেন। হেডস্যারের অমতে তা আর মঞ্চস্থ হতে পায়নি। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ভর্তি হয়ে নাটকের প্রতি তাঁর আগ্রহ আরও নিবিড় হয়। কলেজের পড়া ছেড়ে শুরু করেন দেশি-বিদেশি নাটক পড়া। পাশাপাশি চলতে থাকে নাটক দেখা। নাটক ও মঞ্চের প্রতি তাঁর অদম্য আগ্রহ শেষ পর্যন্ত তাঁকে নিয়ে আসে পেশাদারী রঙ্গমঞ্চে।


ভূমেন রায়ের হাত ধরে ১৯৩৯ সালে ছাব্বিশ বছর বয়সে শম্ভু মিত্র রঙমহল থিয়েটারে প্রবেশ করেন। শুরু হয় অভিনেতা শম্ভু মিত্রের নটের জীবন। রঙমহলে ‘মাটির ঘর’, ‘মালা রায়’, ‘ঘূর্ণি’, ‘রত্নদীপ’ অভিনয়ের পর শ্রী মিত্র যোগ দেন মিনার্ভায়। মিনার্ভায় তখন মহর্ষি মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য অভিনয় করছেন। মিনার্ভা ছেড়ে দিয়ে এরপর শম্ভু মিত্র চলে আসেন নাট্যনিকেতনে যা পরে শ্রীরঙ্গমে রূপ পায়। এই শ্রীরঙ্গমেই নাট্যাচার্য শিশির ভাদুড়ির সান্নিধ্য পরবর্তী কালে শম্ভু মিত্রের নাট্যচেতনা ও নাট্যবোধকে গভীর ভাবে প্রেরিত করেছিল।


১৯৪৩ সালে শম্ভু মিত্র ‘ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘ’তে যোগ দেন। আর এখান থেকেই নাট্য নির্দেশক শম্ভু মিত্রের জীবনের নতুন পর্বের সূত্রপাত। ১৯৪৩ এ তাঁর নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয় ‘জবানবন্দী’ ও ‘ল্যাবরেটরী’। এবং এই বছরই বিজন ভট্টাচার্যের সঙ্গে যুগ্ম নির্দেশনায় মঞ্চস্থ হয় ‘নবান্ন’, যে নাটকটিকে বলা যায় বাংলা থিয়েটারের ইতিহাসের একটি মাইলস্টোন। মঞ্চসজ্জা, মঞ্চশৈলী ও মঞ্চভাষার অভূতপূর্ব এই উপস্থাপনার পরই একরকম “পরিচালক হিসাবে শম্ভু মিত্রের ভবিষ্যৎ নির্দিষ্ট হয়ে যায়”। ১ আর তাঁর অভিনয়ে মুগ্ধ হয়ে আনন্দবাজার লেখে “...শম্ভু মিত্রের অভিনয়ের স্বাভাবিকতা অনবদ্য”। ২ যে অভিনয় করবার ‘আকাঙ্ক্ষা’ নিয়ে শম্ভু মিত্র গণনাট্য সঙ্ঘে এসেছিলেন। কিন্তু তাঁর এই আকাঙ্ক্ষা ও শিল্পীসত্তা গণনাট্য সঙ্ঘে পরিতৃপ্ত হয়নি। তাই তিনি গণনাট্য সঙ্ঘ ত্যাগ করেন।


মহর্ষির প্রেরণায় ১৯৫০ সালের ১লা মে “ভালো করে ভালো নাটক করা”র ৩ ‘সংকল্প’ নিয়ে যাত্রা শুরু হয় বহুরূপী নাট্যগোষ্ঠীর। শম্ভু মিত্র তার হাল ধরেন। বহুরূপী তার প্রচার পত্রে ঘোষনা করেছিল- “আমরা ভালো নাটক অভিনয় করতে চাই, যে নাটকে সামাজিক দায়িত্ব জ্ঞানের প্রকাশ ও মহত্তর জীবন গঠনের প্রয়াস আছে”। ৪ সে অঙ্গীকার নিয়েই মঞ্চস্থ হয়েছিল ‘উলুখাগড়া’ (১২ আগস্ট ১৯৫০)। তার প্রযোজনার অভিনবত্ব বোঝা যায় আনন্দবাজারে প্রকাশিত সমালোচনা থেকে – “সম্পূর্ণ নূতন ধরণের নাটকখানির মঞ্চসজ্জা করেছিল কোন দৃশ্যেই পুরো দৃশ্যপট নাই-জানলা দরজা ও অনান্য নিতান্ত প্রয়োজনীয় জিনিসের একটা ইঙ্গিত মাত্র আছে। প্রয়োগ কৌশলের অভিনবত্ব সহজেই ধরা পড়ে”।৫


‘উলুখাগড়া’র পর ‘ছেঁড়া তার’এর প্রযোজনায় শম্ভু মিত্র প্রমাণ করে দেন “চিত্র কল্পের সাহায্য না নিয়েও অভিনয় যে শ্রেষ্ঠ হতে পারে”। ৬ কমলকুমার মজুমদার এ প্রসঙ্গে বলেন প্রয়োগ বিজ্ঞানের নতুনত্বের কথা। এরপর প্রযোজিত হয় ‘বিভাব’। শ্রী মিত্র বলেন ‘অভাব নাটক’। “কারণ দুরন্ত অভাব থেকেই এর জন্ম। আমাদের একটা ভালো stage নেই।সিন সিনারি আলো ঝালর কিছুই আমাদের নিজেদের নেই। সঙ্গে থাকবার মধ্যে আছে কেবল নাটক করবার বোকামিটা”। ৭


এরপর শম্ভু মিত্র ফিরলেন রবীন্দ্রনাথের দিকে। সমকালীন জীবন চেতনাকে মঞ্চে আনতে গিয়ে একদিন যে রবীন্দ্রনাথকে তাঁর অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়েছিল, ঐতিহ্যের সঙ্গে সমন্বিত এক ভাবনালোকে সেই রবীন্দ্রনাথকেই আবিষ্কার করলেন শ্রী মিত্র। উপন্যাস ‘চার অধ্যায়’এর নাট্যরূপ দিলেন। ১৭ বছর আগে লেখা উপন্যাসকে যখন তিনি ১৯৫১ তে মঞ্চস্থ করলেন তা ছুঁইয়ে গেল সমকালের সংকটকে। নাটকের প্রারম্ভিক ‘ওভার্চার’ থেকে উপস্থাপনার শেষ পর্যন্ত দর্শক অভিভূত, মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে রইলেন। শম্ভু মিত্রের ‘রক্তকরবী’র প্রযোজনা আজ কিংবদন্তী প্রায়। এর আগেও ‘রক্তকরবী’ মঞ্চস্থ হয়েছে, কিন্তু ১৯৫৪ তে শ্রী মিত্রের ‘রক্তকরবী’ প্রাণের দীপ্ত আবেগে শঙ্খ ঘোষের ভাষায় ‘প্রতীক থেকে রক্ত মাংসে’ এসে পৌঁছলো। এরপর মঞ্চস্থ হলো ‘বিসর্জন’ (১৯৬১)। এই নাটকেও দিতে দেখাতে চাইলেন ‘বাঁচবার পথের একটা দিশা’। ‘মুক্তধারা’ মঞ্চসাফল্য পেলো না। কিন্তু ১৯৬৪ তে ‘রাজা’য় তাঁর সূক্ষ প্রযোজনা কর্মের নৈপুণ্যের প্রমাণ মেলে জনসেবক পত্রিকার সমালোচনায়, “শম্ভু মিত্রের নাট্যনির্দেশনা প্রশংসার দাবি রাখে।... রানীর অন্ধকার ঘর, নেপথ্য থেকে রাজার রানী, রাজপথে নগরবাসীর উৎসব যাত্রা এবং শেষ দৃশ্যে রানীর জীবনাবসানের দৃশ্যব্যঞ্জনা দর্শক মনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে”। ৮


রাজাকে শ্রী মিত্র বলেছিলেন ‘অন্ধকারের নাটক’। সেই সঙ্গে আরও একটি নাটককে সেই বন্ধনী ভুক্ত করেছিলেন, ‘রাজা অয়দিপাউস’। এই প্রযোজনায় তিনি “বাংলা অভিনয় ও মঞ্চ সজ্জাকে এক দুর্মর ঐক্য বিন্দুতে উৎকর্ষের চরমে পৌঁছে দেবার প্রয়াসে সার্থক হয়েছিলেন”। ৯ গ্রীক নাটকের এই অভাবনীয় উপস্থাপনায় গোপাল হালদার শম্ভু মিত্রের ‘দুঃসাহস’এর প্রশংসা করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে বলা যায় শম্ভু মিত্রের আরও দুটি সময়োপযোগী বিদেশী নাটক প্রযোজনার কথা। তার একটি ইবসেনের ‘এনিমি অব দি পিপল’ অবলম্বনে লেখা ‘দশচক্র’ (১৯৫২), ও অন্যটি ‘ডলস হাউস’এর তাঁর স্বকৃত অনুবাদ ‘পুতুল খেলা’ (১৯৫৮)। ‘দশচক্রের’ প্রযোজনা সম্পর্কে “এ কথা বলা অত্যুক্তি হবে না যে শিল্প পরিকল্পনায় এবং অভিনয়ে এমন মঞ্চ কৃতিত্ব আমাদের দেশে আগেও কখনো হয়েছে কিনা মনে করা সহজ হবে না”। ১০


এছাড়া শম্ভু শম্ভু মিত্রের নির্দেশনায় ‘বাকি ইতিহাস’ (১৯৬৭), ‘পাগলা ঘোড়া’ (১৯৭১) এগুলির মতো অপ্রচলিত প্রথা বিরোধী অ্যাবসার্ড লক্ষণাক্রান্ত নাটক মঞ্চস্থ হয়। যার পশ্চাতেও ছিল তাঁর সক্রিয় সমাজ বোধ। প্রযোজনার দিক থেকে আলো অন্ধকারের ব্যবহারে ও দৃশ্যগঠনে ‘বাকি ইতিহাস’ এক নতুন নজির সৃষ্টি করেছিল।


নাট্য নির্দেশক ও নট ছাড়াও শম্ভু মিত্র একাধারে পত্রিকার সম্পাদক (১৯৭১ থেকে ‘বহুরূপী’ পত্রিকাটি তিনি সম্পাদনা করতেন), নাকটকার, প্রবন্ধকার, ছোটগল্পকার ও নাট্যতত্ত্ববেত্তা। তাঁর রচিত পূর্ণাঙ্গ নাটকের সংখ্যা পাঁচটি। তার মধ্যে ‘উলুখাগড়া’ লেখা হয়েছে দাঙ্গা-যুদ্ধ-মন্বন্তরের প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে, ‘বিভাব’ নাটকটি জাপানি ‘কাবুকি’ নাটকের অনুকরণে রচিত, সংস্কৃত নাটকের আদলে লেখা ‘কাঞ্চনরঙ্গ’ কাঞ্চনের প্রভাবে মানুষের বদলে যাওয়ার গল্প, ‘ঘূর্ণি’ নাটকে প্রতিফলিত হয়েছে বামপন্থী সমাজচেতনা, এবং ‘চাঁদ বণিকের পালা’ শুধু শ্রী মিত্রের নয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম একটি শ্রেষ্ঠ নাটক। মনসামঙ্গলের এক রৈখিক কথনবিশ্ব সেখানে বিনির্মিত বহুস্তরীয় ভাববিশ্বে, যা সাতের দশকের অন্ধকার ভারতবর্ষের ছবি আর আলোর দিকে পাড়ি দেবার এক বৈপ্লবিক অভিযাত্রার গল্প।


‘একটি দৃশ্য’, ‘গর্ভবতী বর্তমান’ ও ‘অতুলনীয় সম্বাদ’ নামে তিনটি একাঙ্কিকাও লিখেছিলেন শ্রী মিত্র। পাশাপাশি নাটক ও সিনেমার জগতের বিভ্রান্তি ও সমস্যা নিয়ে তিনি লিখেছেন পাঁচটি ছোটোগল্প। তারমধ্যে ‘অসাময়িক’ ও অরণ্য’ গল্পদুটি ক্ষণেশপ্রসাদ দত্ত ছদ্মনামে বহুরূপী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, ‘সংক্রমণ’ ও ‘তিনতলা’ প্রকাশিত হয় অরণি পত্রিকায় এবং অমৃত পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ‘কালীদহ’ গল্পটি।


নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিষয়ে বেশ কিছু প্রবন্ধ লিখেছিলেন শম্ভু মিত্র। যেগুলি নাটক সাহিত্য তথা বাংলা নাটকের অক্ষয় সম্পদ হয়ে আছে। তাঁর প্রবন্ধ গুলি সংকলিত হয়েছে ‘অভিনয় নাটক মঞ্চ’ (১৯৫৭), প্রসঙ্গ : নাট্য’ (১৯৭১), ‘সন্মার্গ-সপর্যা’ (১৩৯৬ বঙ্গাব্দ), ‘কাকে বলে নাট্যকলা’ (১৯৯১), ‘নাটক রক্তকরবী’ (১৯৯২) –এই গ্রন্থ গুলিতে।


এক সাক্ষাৎকারে শম্ভু মিত্র বলেছিলেন, “নির্দেশক হবোটবো এ আকাঙ্ক্ষা আমার একদমই ছিলো না। আমার...আকাঙ্খা ছিলো অভিনয় করবো”। ১১ কিন্তু তিনিই হয়ে উঠলেন বঙ্গ রঙ্গমঞ্চের প্রথম যথার্থ নির্দেশক। শিশির ভাদুড়ি যে প্রয়াস শুরু করেছিলেন সেই উত্তরাধিকার বহন করে তাকেই নির্দেশনায় তিনি সম্পূর্ণ করে তুললেন। “নির্দেশকের কাজ হচ্ছে কারও ভাল অভিনয়টাকে ভেতর থেকে বার করে আনা। ...গুরুগিরি...নির্দেশকের কাজ নয়”১২ – সে দায়িত্বই তিনি পালন করেছেন সারা জীবন। তাঁর সৃজনশীলতায়-ভাবনায় একেরপর এক নজির তৈরি হয়েছে। যা কালজয়ী, আগামীর পথ প্রদর্শক। শম্ভু মিত্র নাটককে জীবন বিচ্ছিন্ন ভাবেননি। বলতেন নাটককে কথা বলতে হয় আজকের ভাষায়। তাই “আজকের দৈনন্দিক কথোপকথনের মধ্যে যে বাস্তবতার বোধ থাকে, যে কল্পনার গড়ন থাকে, সেই ছকের মধ্যে”১৩ নাটককে নিয়ে আসতে হবে। শম্ভু মিত্রের প্রযোজনায়, সে ‘উলুখাগড়া’ হোক ‘রক্তকরবী’ বা ‘অয়দিপাউস’ কথা বলেছে সমকালীন ভাষায়। রবীন্দ্রনাথ ও শিশির কুমারকে ছুঁয়ে থেকেও স্বতন্ত্র হয়ে গেছেন শম্ভু মিত্র। একদিকে যেমন মঞ্চ সজ্জার অভিনবত্বে বারবার তাক লাগিয়ে দিয়েছেন, অন্যদিকে যাত্রার সরল বিন্যাসকে মঞ্চে এনে দেখিয়ে দিয়েছেন আলো ছাড়া, সজ্জা ছাড়া, অর্থ ছাড়াও নাটক করা যায়। আজ আমরা যারা কেবল অডিও মাধ্যমে শম্ভু মিত্রর ‘রক্তকরবী’ বা ‘রাজা অয়দিপাউস’ শুনি, তারা বুঝতে পারি তাঁর অভিনয় দক্ষতার অনন্যতা। কিন্তু তাঁর বিখ্যাত “উচ্চারণভঙ্গি ও স্বরপরিবর্তনের কৌশলগত দিক ছাড়াও... কৌশলের সঙ্গে যে মাত্রাটি যুক্ত হলে ‘অভিনয়’ হয়ে ওঠে ‘শিল্প’ সেই মাত্রাটি অসামান্য হয়ে প্রকাশ পেত তাঁর অভিনয়ে”। ১৪ নির্দেশনা, অভিনয় নিয়ে ভাবা ছাড়াও শ্রী মিত্র ভেবেছিলেন, স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি আধুনিক সময়োপযোগী মঞ্চের। উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সাফল্য পাননি সরকারি অসহযোগিতায়। লোকনাটক চর্চা, বিদেশী নাটকের অনুবাদের ব্যবস্থার জন্য দরবার করেও সাড়া পাননি। তাঁর হাতে কাটা পথে এখনও বাংলা নাটক সম্পূর্ণত অগ্রসর হয়েনি। ১৯৯৭ সালের ১৮ মে শ্রী মিত্র পরলোক গমন করেন। রেখে যান তাঁর জীবন মন্থনসঞ্জাত অমৃতের বিপুল উত্তরাধিকার।

“অভিনেতা নও, প্রাণের প্রাণেতা তুমি,

বড়ো বেশি দিন শাসন করেছো বুকের রঙ্গভূমি।

এখন সেখানে পিলপিল হাটে ভাঁড়, বিদূষক ক্লীব,

নির্বাসনের ঘন যবনিকা ছিঁড়ে

আবার কখন তুলে নেবে বলো তমোঘ্ন গান্ডীব?” – অমিতাভ দাশগুপ্ত।



উৎস নির্দেশ 

১। সুধী প্রধান, ‘নবনাট্য আন্দোলন প্রসঙ্গ’

২। ‘নবান্ন’, আনন্দবাজার পত্রিকা, ২৭ অক্টোবর ১৯৪৪

৩। অশোক মজুমদার, ‘পথিক থেকে ‘রক্তকরবী’’, বহুরূপী পত্রিকা, ৬৯ সংখ্যা (১ মে ১৯৮৮), সম্পাদক : কুমার রায়

৪। স্বপন মজুমদার, ‘বহুরূপী ১৯৪৮-১৯৮৮’ (১৯৮৮), পৃষ্ঠা ১৯

৫। আনন্দবাজার পত্রিকা, ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৫০

৬। বসুমতী পত্রিকা, ৩০ ডিসেম্বর ১৯৫০

৭। ‘বিভাব’, বহুরূপী, ৬৯ সংখ্যা (১ মে ১৯৮৮), সম্পাদক : কুমার রায়

৮। জনসেবক। ২৬ জুন ১৯৬৪

৯। জগন্নাথ ঘোষ, ‘শম্ভু মিত্রের নাট্যচর্চা’, প্রথম প্রকাশ জানুয়ারি ১৯৯৮, দে’জ পাবলিশিং, কলকাতা, পৃষ্ঠা ৫৯

১০। আনন্দবাজার পত্রিকা, ৭ ডিসেম্বর ১৯৫২

১১। সুবীর রায়চৌধুরী, ‘শম্ভু মিত্রের সঙ্গে কিছুক্ষণ : একটি সাক্ষাৎকার’, যুগান্তর, ২ সেপ্টেম্বর ১৯৯০

১২। শম্ভু মিত্র। ‘কাকে বলে নাট্যকলা’, প্রথম সংস্করণ, ১৯৯১, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, পৃষ্ঠা ৫৩

১৩। প্রাগুক্ত গ্রন্থ, পৃষ্ঠা ২৩

১৪। শাঁওলী মিত্র, “শম্ভু মিত্র :  অভিনয়ের অনুসন্ধান”, শাঁওলী মিত্র সম্পাদিত, ‘শম্ভু মিত্র : ধ্যানে ও অন্তর্ধানে’, প্রথম প্রকাশ ভাদ্র ১৯৯৮, নান্দনিক, কলকাতা, পৃষ্ঠা ৭৫ 



শম্ভু মিত্র

Commentaires

Noté 0 étoile sur 5.
Pas encore de note

Ajouter une note
bottom of page